রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম | Open DBBL Rocket Account | Rocket Account Check

আপনি কি রকেট একাউন্ট খুলতে এবং একাউন্ট খোলার জন্য সকল দরকারি কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন? আপনি যদি রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম ও দরকারি কি কি কাগজপত্র লাগবে এসে থাকেন, তাহলে এই অনুচ্ছেদটি আপনার জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়মগুলো না জানা থাকলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, তাই এই নিয়মগুলো এবং কি কি দলিলাদি লাগবে তা জানা থাকলে আপনি অন্যদের থেকে বেশি এগিয়ে থাকবেন।

একটি রকেট একাউন্ট শুধু তৈরি করলেই হবে না সেই একাউন্টের সুরক্ষার বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিত। এই অধ্যায়ে আমরা রকেটে একাউন্ট খোলার নিয়ম এর পাশাপাশি রকেট একাউন্টকে কীভাবে সুরক্ষা দিবেন, কীভাবে রকেট একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম ও দরকারি সকল কাগজপত্র

রকেট হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং। এই ব্যাংকিং সিস্টেম বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে একটা বড় পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং একটা বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু, ডাচ বাংলা ব্যাংক শুধু এটিএম বুথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং এর ধারণা নিয়ে আসে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত বিকাশ মোবাইল ব্যাংক।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে আমাদের আগে কি কি দরকারী কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে আলোচনা করে নেওয়া উচিত।

রকেট একাউন্ট খুলতে দরকারি কাগজপত্র

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম আলোচনা করার আগে আমাদের একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। কেননা, আপনি একাউন্ট খুলতে যাওয়ার আগে যদি রকেট একাউন্ট খোলার সকল দরকারি কাগজপত্র জোগাড় করে না রাখেন, তাহলে আপনার একাউন্ট খুলতে সমস্যা হতে পারে।

১। জাতীয় পরিচয়পত্র

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মূল পরিচয়পত্র হলো জাতীয় পরিচয়পত্র। আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি বাংলাদেশের সকল প্রকারের ই-সেবা পাবেন না। রকেট একাউন্ট করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। যখন আপনি রকেট একাউন্ট খুলতে যাবেন, তখন আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে নিয়ে যেতে হবে।

রকেট একাউন্ট গ্রাহকের একজন নমিনি নির্দিষ্ট করে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে বর্তমানে রকেট একাউন্ট করার সময় রকেট অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট খুললে নমিনির কোনো ছবি লাগেনা। তবে, আমাদের পরামর্শ হচ্ছে আপনারা অবশ্যই আপনার নমিনির পরিচয়পত্র দিয়ে দিবেন।

২। গ্রাহকের ছবি

বাংলাদেশের যেকোনো একাউন্ট খোলার জন্য প্রতিটি ব্যাংকই গ্রাহকের ছবি চায়। কারণ, কোনো কারণে আপনার ব্যাংক একাউন্টের সমস্যা হলে তা সহজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে। কিন্তু রকেট একাউন্ট করার সময় সরাসরি আপনার ছবি স্ক্যান করতে বলবে।

৩। নমিনির ছবি

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এই সেকশনে নমিনি রঙিন ছবি দরকার পড়বে। কেননা, গ্রাহকে অবর্তমানে কেবল নমিনিই ঐ একাউন্টের মালিক ঘোষণা করতে পারবেন। তাই নমিনির সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

তবে বর্তমানে রকেট অ্যাপের মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করার সময় নমিনির ছবি লাগেনা কিন্তু নিজের প্রয়োজনে আপনাকে নমিনির ছবি দেওয়া উচিত।

উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রের পাশাপাশি আপনাকে অন্যান্য কাগজপত্র যেমনঃ- পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি আপনার পরিচয়পত্র হিসেবে যুক্ত করতে পারেন।

নোটঃ আপনি যদি একজন ছাত্র / ছাত্রী হয়ে থাকেন কিন্তু নাগরিক না হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি কি রকেট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না? আপনি আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেটের ফটোকপি জমা দিয়েও রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন।

কিন্তু, আপনি যদি ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন কিন্তু আপনার কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকে, তাহলে আপনার বাবা-মা এর এনআইডি কার্ড দিয়েও আপনার ব্যবহার করার জন্য একটি রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর উপরের সেকশনে আমরা রকেট একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে আলোচনা করেছি। নিচে আমরা রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম আলোচনা করবো।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম

রকেট একাউন্ট খোলার সময় আপনাকে মনে রাখতে হবে যে – রকেট একাউন্ট যেহেতু একটি ব্যাংক একাউন্ট তাই এর কিছু নিরাপত্তার বিষয় জড়িত আছে।

একাউন্ট খুললেই হবে না, সেই একাউন্টকে রক্ষা করার ক্ষমতা থাকতে হবে। কেনোনা, আপনি যদি কোনো লেনদের আপনার রকেট একাউন্ট দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার একাউন্ট থেকে যেকোনো সময় আপনার টাকা হারিয়ে যেতে পারে।

তাই রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে আমরা রকেট একাউন্ট খোলার পাশাপাশি এর নিরাপত্তার কিছু বিষয় আলোচনা করবো।

*322# ডায়াল করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর মধ্য *322# ডায়াল করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন করার প্রক্রিয়াটি অন্যতম। আপনার যখন বাটন মোবাইল থাকবে, সেক্ষেত্রে আপনি এই ধাপটি অবলম্বন করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে পারবেন। প্রি-রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি মূলত একাউন্ট খোলার সময় কাজে লাগে কিন্তু সেই একাউন্ট দিতে লেনদেন করতে পারবেন না।

*322# ডায়াল করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনাকে পরবর্তীতে আপনার নিকটবর্তী কোনো রকেট কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে একাউন্টটি সক্রিয় করে নিতে হবে। তারপরই আপনি প্রি-রেজিষ্ট্রেশনকৃত একাউন্ট দিয়ে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে আপনাকে *322# ইউএসএসডি কোডটি ডায়াল করতে হবে। তারপর আপনার মোবাইলে স্কিনে “1” প্রেস করতে হবে। তারপর আপনি যে রকেট একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন, সে সম্পর্কে ভেরিফাই করার জন্য আপনার মোবাইলে ডিবিবিএল থেকে একটি কল আসবে।

যদি আপনি উক্ত সিমের মধ্যে আপনার রকেট একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে সম্মতি দিয়ে “4” ডিজিটের একটি পিন বসাতে হবে।

যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং এর এই পিন দিয়েই আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় আপনি যে একাউন্টটি এক্টিভ করেছেন, তার মাধ্যমে আপনি লেনদেন করতে পারবেন না। পরবর্তীতে উক্ত একাউন্ট অ্যাক্টিভ করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ ডিবিবিএল কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে একাউন্টটি অ্যাক্টিভ করে নিতে হবে।

আপনার রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে আপনার সকল তথ্য দেখার সুবিধার জন্য নিচে লিস্ট আকারে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হলো-

  • ডায়াল *322#
  • তারপর আপনার মোবাইলে একটি নতুন স্কিন আসবে।
  • সেই ক্রিনে আপনাকে “1” প্রেস করতে হবে।
  • তারপর আপনি যে নম্বরে একাউন্ট চালু করতে চেয়েছেন, সেই নম্বরে একটি ডিবিবিএল থেকে কল আসবে।
  • আপনি আগ্রহী হলে “4” ডিজিটের একটি পিন বসাতে হবে।
  • তারপর সেই কল অটোমেটিকভাবে কেটে যাবে।

উপরে উল্লেখিত সকল ধাপ ভালোভাবে সম্পূর্ণ করলেই আপনি আপনার সিমের মধ্যে রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন।

এই ধাপসমূহ শেষ করার পর আপনার কাজ শেষ হয়েছে এরকম মনে করবেন না। এরপর আপনাকে আপনার নিকটস্থ রকেট একাউন্ট চালু করে রকম দোকানে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ও সকল দরকারি কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

রকেট একাউন্ট অ্যাক্টিভ করার জন্য আপনাকে নিচের কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।

  • পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

উপরের উল্লেখিত কাগজগুলো সংগ্রহ করে আপনার নিকটস্থ রকেট এজেন্ট পয়েন্ট / ডিবিবিএল শাখা / রকেট অফিস বা ডিবিবিএল এজেন্টের অফিসে গিয়ে KYC নামে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এই KYC ফরমের সাথে ফিংগারপ্রিন্ট ও স্বাক্ষরসহ জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার রকেট একাউন্ট চালু হয়ে যাবে।

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম বর্তমান ইন্টারনেটের আশির্বাদের ফলে অনেক সহজ হয়ে গেছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মোবাইল ফোনেরও পরিবর্তন এসেছে।

বেশ কয়েকযুগ আগের কথা বেশিরভাগ মানুষ বাটনফোন ব্যবহার করতো কিন্তু আধুনিক যুগের ছোয়ায় সবাই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া হচ্ছে অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট খোলা।

এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বাড়িতে বসেই আপনার রকেট একাউন্ট নিজে নিজেই চালু করতে পারবেন। বেশিরভাগ মানুষের *322# ডায়াল করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি ঝামেলার মনে হতে পারে।

*322# ডায়াল করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন শুধু বাটনফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাও রকেট একাউন্ট চালু করতে পারবেন।

তবে অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট চালু করা অনেক সহজ। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কখনোই *322# ডায়াল করে প্রি রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে চাইবেন না।

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপের শুরুতে আপনার কাছে যেকোনো একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে। শুধু স্মার্টফোন হলেই হবেনা, সেই স্মার্টফোনে অবশ্যই এন্ড্রয়েড অথবা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম চালু থাকতে হবে।

তারপর আপনাকে অবশ্যই সেই অপারেটিং সিস্টেমে রকেট অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর অথবা অ্যাপ-স্টোর থেকে আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করে নিতে হবে।

উপরের লিংক ব্যবহার করে আপনি গুগল প্লে-স্টোর থেকে এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহারকারী রকেট অ্যাপকে ইন্সটল করতে পারবেন।

উপরের বাটনের লিংক ব্যবহার করে আইফোন ব্যবহারকারী রকেট অ্যাপকে ইন্সটল করতে পারবেন খুব সহজেই। রকেট অ্যাপ ব্যবহার করে

অ্যাপটি ইন্সটল করার পর আপনার মোবাইল ফোন স্কিনে রকেট অ্যাপের একটি আইকোন দেখাবে। রকেট অ্যাপটি চালু করার জন্য আপনাকে ঐ আইকোনে ক্লিক করতে হবে।

তারপর আপনি যে সিমে রকেট একাউন্ট চালু করতে চান, সেই সিম আপনার স্মার্টফোনে প্রবেশ করানো থাকতে হবে। তারপর পরবর্তী ধাপে আপনাকে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে আপনি রকেট একাউন্ট চালু করতে পারবেন না। যদি আপনি ওয়াইফাই এর সাথে সংযুক্ত থাকেন, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।

তারপর আপনাকে রকেট অ্যাপের আইকোনে ক্লিক করলে আপনি প্রথম আপনি চালু করতে পারবেন। তারপর আপনাকে ভাষা সিলেক্ট করতে বলবে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভাষা সিলেক্ট করবেন। আমাদের সুবিধার জন্য ইংরেজি ভাষা সিলেক্ট করেছি।

ভাষা সিলেক্ট করার পর Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার মোবাইল নম্বর বসিয়ে Next বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে চলে যাবেন।

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে যদি আপনি পূর্বে এই সিমে কোনো রকেট একাউন্ট থাকে, তাহলে আপনাকে লগইন করতে বলবে। কিন্তু যদি না থাকে তাহলে “You are not registered to mobile banking. do you want to register?” লেখাটি দেখাবে।

যেহেতু আপনি নতুন একটি একাউন্ট তৈরি করতে চাইতেছেন, সেজন্য আপনাকে Yes বাটনে প্রেস করতে হবে।

পরবর্তীতে আপনাকে মোবাইল সিম অপারেটর সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে মোবাইল অপারেটর সিলেক্ট করলে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।

Next বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সিমে ডিবিবিএল থেকে একটি কল আসবে, সেই কলে আপনাকে বলবে যে আপনার সিমে একটি রকেট একাউন্ট তৈরি হচ্ছে, আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ৪ ডিজিটের একটি পিন সেট করতে বলবে।

৪ ডিজিটের একটি পিন সেট করার পর আপনার কল কেটে যাবে, পরবর্তীতে রকেট অ্যাপে লগইন করার সময় ৪ ডিজিটের পিন দিয়ে লগইন করতে হবে।

তারপর আপনার মোবাইলে একটি ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি আসবে, সেই ওটিপি অটোম্যাটিক আপনার রকেট অ্যাপটি ডিটেক্ট করে নিবে। যদি না ডিটেক্ট করে তাহলে ম্যানুয়ালি কোডটি ইনবক্স মেসেজ থেকে কোডটি নিয়ে টাইপ করবেন।

কোডটি টাইপ করার পর Next বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর অ্যাপের মধ্যে দেখানো ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই আপনার রকেট একাউন্ট খুলতে পারবেন। নিচে ছবি সহকারে অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে রকেট একাউন্ট খুলতে হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধাপ-১ঃ রকেট অ্যাপ ইন্সটল

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপের শুরুতে আপনাকে আপনার ডিভাইস অনুসারে রকেট অ্যাপকে ডাউনলোড করতে হবে। আপনি যদি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে গুগল প্লে-স্টোর থেকে রকেট অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে।

আপনি যদি অ্যাপটি না খুঁজে পানা, তাহলে নিচের ছবির মতো আপনার মোবাইলে একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি “Rocket Dutch Bangla Bank” দেখতে পাবেন। আপনাকে ইন্সটল বাটনে ক্লিক করে অ্যাপটি আপনার ফোনে ইন্সটল করতে হবে।

ধাপ-২ঃ ভাষা সিলেকশন

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে গুগল প্লে-স্টোর থেকে রকেট অ্যাপটি ইন্সটল করার পর অ্যাপটিকে চালু করতে হবে। অ্যাপটি চালু করলে প্রথমে আপনার মোবাইলের কন্টাক্ট ইনফরমেশনের তথ্য নেওয়ার জন্য কন্টাক্ট পারমিশন চাইবে। তারপর আপনার চোখের সামনে ভাষা সিলেকশনের জন্য অপশনটি দেখাবে। সেখানে আপনি মূলত দুইটি ভাষা যেমন – ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মধ্যে যেকোনো একটি ভাষা সিলেক্ট করতে পারবেন।

ভাষা সিলেকশন করার পর পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে পারবেন। রকেট অ্যাপটি যখন আপনি নতুন খুলবেন, তখন আপনাকে যেকোনো একটি ভাষা সিলেক্ট করতেই হবে এবং সিলেক্ট না করা পর্যন্ত আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন না। রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য আপনাকে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৩ঃ মোবাইল নম্বর ইনপুট

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে ভাষা সিলেকশন করার পরবর্তী ধাপে গেলে একজন রকেট একাউন্টের গ্রাহক মোবাইল নম্বর ইনপুট করার জন্য একটি ফিল্ড পাবেন। যেখানে আপনার মোবাইলে প্রবেশ করা আছে এমন মোবাইল নম্বর দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় সকল সিমের মাধ্যমেই রকেট একাউন্ট খোলা যায়।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে মোবাইল নম্বর প্রবেশের ফিল্ডে যদি বাংলাদেশে প্রচলিত যেকোনো সিমে মোবাইল নম্বর প্রবেশ করেন, তাহলে সেই মোবাইল নম্বর হবে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেট একাউন্ট নম্বর। তবে সেই একাউন্ট নম্বরের শেষে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত একটি নম্বর যুক্ত হয়ে সর্বমোট ১২ ডিজিটের একটি নম্বর হবে আপনার রকেট একাউন্ট নম্বর।

তারপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে একটি পপআপ উইন্ডো আসবে। যেখানে লেখা থাকবে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এ রেজিষ্ট্রার করেননি। আপনি যদি একাউন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে “Yes” আর যদি না করতে চান তাহলে “No” তে ক্লিক করতে হবে।

যেহেতু আপনি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে “Yes” বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার প্রবেশকৃত সিম অপারেটরটি সিলেক্ট করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি টেলিটক, গ্রামীনফোন, বাংলালিংক এয়ারটেল এবং রবি এর মধ্যে যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে পারবেন। রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য আপনাকে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৪ঃ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইনপুট

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বসাতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার একটি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকবে। আপনি যদি স্মার্ট কার্ড পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ১০ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উক্ত ফিল্ডে প্রবেশ করাতে হবে।

অপরদিকে আপনি যদি স্মার্ট কার্ড না পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৩ কিংবা ১৭ ডিজিটের হবে। সেজন্য সঠিকভাবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উক্ত ফিল্ডে বসিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য আপনাকে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৫ঃ মোবাইল অপারেটর সিলেকশন

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে আপনাকে মোবাইল সিম অপারেটর সিলেকশন করতে হবে। মোবাইল সিম অপারেটরের নাম সিলেকশন করার জন্য আপনাকে “Select Operator” ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করতেই আপনার সামনে এয়ারটেল, বাংলালিংক, গ্রামীনফোন, রবি এবং টেলিটক ইত্যাদি সিম অপারেটরের নাম আসবে।

আপনি যে সিম অপারেটরের সিম ব্যবহার করে তা সিলেক্ট করার পর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনার সিমে একটি কল আসবে। সেই কলে আপনাকে বলে দিবে যে আপনি রকেট একাউন্ট খুলতেছেন। তারপর আপনাকে কলটি রিসিভ করতে হবে।

কলটি রিসিভ করার পর আপনাকে ৪ ডিজিটের একটি পিন সেট করতে হবে। পিন সেট করার পর কলটি কেটে যাবে। যে পিন আপনি প্রবেশ করাবেন তা যেনো আপনার মনে থাকে। যদি আপনার পিন না মনে থাকে তাহলে আপনি লগইন করতে পারবেন না।

কলটি কেটে যাওয়ার পরে আপনার মোবাইলে একটি সিকিউরিটি কোড আসবে। সেই সিকিউরিটি কোডটি আপনার রকেট অ্যাপে সরাসরি অ্যাড না হলে আপনাকে ম্যানুয়ালি অ্যাড করতে হবে।

সঠিক পদ্ধতিতে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপের শেষে যখন আপনার ফোনে নিরাপত্তা কোডটি আসবে তারপর আপনার ৪ ডিজিটের পিনটি বসিয়ে যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন অন্যথায় আপনি রকেট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না।

যাচাই করা শেষ হলে আপনাকে রকেট অ্যাপের লগইন ফরমে নিয়ে আসবে। যেখানে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর ও ৪ ডিজিটের পিন দিয়ে লগইন করতে হবে।

ধাপ-৬ঃ KYC ফরম রেজিস্ট্রেশন

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই ধাপে যখন আপনি মোবাইল নম্বর ও ৪ ডিজিটের পিন দিয়ে লগইন করবেন, তখন আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। তবে আপনার একাউন্ট এখনই লেনদেনের জন্য প্রস্তত হয়নি। আপনার একাউন্ট লেনদেনের জন্য আপনাকে KYC ফরম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনি যখন রকেট অ্যাপে লগইন করবেন তখন নিচের মত একটি ইন্টারফেস দেখাবে।

KYC ফরম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে “নিবন্ধন সম্পন্ন করুন” নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি না সম্পন্ন করা পর্যন্ত আপনি লেনদেন করতে পারবেন না। KYC ফরম রেজিস্ট্রেশন করতে “নিবন্ধন সম্পন্ন করুন” বাটনে ক্লিক করলে নিচের মত একটি ইন্টারফেস দেখাবে, যেখানে আপনাকে আপনার একাউন্টের ধরণ সিলেক্ট করতে হবে।

একাউন্টের ধরণ রকেট অ্যাপে ২ প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে জেনারেল গ্রাহক এবং অন্যটি রেমিটেন্স গ্রাহক। আপনি যদি বিদেশ থেকে টাকা উত্তোলন করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে রেমিটেন্স গ্রাহক হিসেবে সিলেক্ট করতে হবে। অপরদিকে যদি আপনি একজন সাধারণ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে জেনালেন গ্রাহক সিলেক্ট করতে হবে।

আপনি যদি বাইরের দেশ থেকে কোনো অর্থ লেনদেন না করে থাকেন, তাহলে আপনাকে জেনারেল গ্রাহক বাটনে ক্লিক করলে আপনি কি করতে পারবেন আর কি করতে পারবেন না সে সম্পর্কে উল্লেখ থাকবে। তারপর বিভিন্ন শর্ত অনুমোদন করে আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৭ঃ জাতীয় পরিচয়পত্র আপলোড

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম এর এই পর্যায়ে উপরের সকল ধাপ ভাল ভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে এই ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্র আপলোড করার জন্য একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি মূলত দুইটি অপশন পাবেন, একটি অপশনে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রে সামনের ছবি স্ক্যান করতে হবে এবং অপর অংশে আপনাকে পিছনের পার্ট আপলোড করতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র ভালো করে স্ক্যান করার পর আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরের পেজে চলে যেতে হবে। পরবর্তী পেজে যাওয়ার পর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল তথ্য এই পেজে দেখাবে। সকল তথ্য ভালো করে পড়ে নিবেন।

সকল তথ্য যদি না ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে এই ফরমটি নিজেকে এডিট করে নিতে হবে। আর যদি সকল তথ্য ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পরবর্তী পেজে যাওয়ার পর আপনাকে আপনার লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, ধর্ম, এবং লেনদের ধরণ সিলেক্ট করতে হবে।

সকল তথ্য প্রদান করার পর আপনাকে আপনার ছবি সাবমিট করতে বলবে। তবে সদ্য তোলা ছবি নেওয়ার জন্য রকেট অ্যাপ ফেস সেটআপ করে রেখেছে। সবকিছুর পারমিশন দেওয়ার পর আপনার সকল কার্য সম্পাদন হয়ে যাবে।

তবে ছবি সাবমিট করার সময় মনে রাখবেন, অবশ্যই যেনো আপনার মুখে পর্যাপ্ত আলো থাকে। যদি আপনার মুখমণ্ডলে পর্যাপ্ত আলো না পড়লে আপনি আপনার ছবি সাবমিট করতে পারবেন না। কারণ, এই প্রক্রিয়ায় আপনার নিজের কোনো কন্ট্রোল থাকেনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রকেট অ্যাপটিই ক্যাপচার করে থাকে।

অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাপচার করার পর আবার আপনার সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য একটি ফাইনাল ফরম দিবে। যদি সকল তথ্য ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে নিশ্চিত বাটনে ক্লিক করে আপনার KYC ফরম রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

উপরের সকল ধাপ সম্পন্ন করার পর আপনার সামনে একটি মেসেজ দেখাবে, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে সেজন্য হয়তো কিছু সময় নিতে পারে।

সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করে থাকলে আপনার রকেট একাউন্ট সঠিকভাবে তৈরি হয়ে যাবে এবং লেনদেনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

পরবর্তীতে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর ও আপনার ৪ ডিজিটের পিন দিয়ে আপনাকে রকেট অ্যাপে লগইন করে সবকিছু চেক করে নিতে পারবেন।

রকেট একাউন্টের মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাবেন?

সঠিক পদ্ধতিতে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসরণ করার পর আপনি খুব সহজেই রকেট একাউন্ট ইতিপূর্বেই তৈরি করে নিয়েছেন।

এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারবেন। রকেট অ্যাপ ব্যবহার করে যেসকল সুবিধা পাবেন, তা হচ্ছে-

ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট সুবিধা

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে আপনি এক ক্লিকেই ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট সুবিধা পাবেন। এই অ্যাপে কিউআর কোড স্ক্যানার থাকার কারণে আপনি খুব সহজেই একাউন্ট নম্বর নির্ভুলভাবে প্রদান করে লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

এটিএম বুথের মাধ্যমে উত্তোলন

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এটিএম বুথের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এটিএম বুথের মাধ্যমে উত্তোলন করলে খুব কম পরিমাণ চার্জ কেটে নেয়। আপনি যদি এজেন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতেন, তাহলে আপনাকে এটিএম বুথের থেকে বেশি চার্জ প্রদান করতে হয়।

মোবাইল রিচার্জ

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যেকোন সময় ঘরে বসেই মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোনো আলাদা চার্জ প্রদান করতে হবে না।

বিল পেমেন্ট ও মার্চেন্ট পেমেন্ট

রকেট অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশের সরকারি যেকোনো বিল পে করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি কোথাও কিছু কেনার জন্য গেলে আপনি মার্চেন্ট পেমেন্ট করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোনো আলাদা পেমেন্ট করতে হবে না।

রকেট অ্যাপ ব্যবহার করলে আরও অনেক সুবিধা আছে।

শেষকথা

সঠিক পদ্ধতিতে রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম আলোচনার পর আমরা বুঝতে পারলাম কীভাবে আমরা একট রকেট একাউন্ট সঠিকভাবে খুলতে পারবো। তাছাডা আমরা রকেট একাউন্ট খোলার জন্য কতগুলো প্রক্রিয়া রয়েছে সকল তথ্য প্রদান করেছি। একজন রকেট ব্যবহারকারী রকেট একাউন্ট থাকলে কি কি সুবিধা পাবেন ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনুচ্ছেদটি পড়ে যদি আপনাদের কোনো সমস্যা বা কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Comment