গ্রাফিক্স ডিজাইন কি | Graphic Design প্রকার, ডিজাইন ও Software

গ্রাফিক্স ডিজাইন – Graphic Design হচ্ছে একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার মননশীল সৃষ্টিকর্ম দিয়ে একটি বিশেষ ম্যাসেজ প্রদান করে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মননশীল সৃষ্টিকর্মকে সম্প্রসারিত করার জন্য ছবি, চিত্র, টেক্সট, এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ব্যবহার করে থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন মননশীল সৃষ্টিকর্মের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে যেমন – পোস্টার ডিজাইন, ব্রোশার ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইটের ডিজাইন, প্রিন্ট মিডিয়া ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট ডিজাইন, গেম ডিজাইন, এনিমেশন ডিজাইন, ইউআই ডিজাইন (UI/UX), গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ইন্টারফেস ডিজাইন ইত্যাদি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তাদের মননশীল সৃষ্টিকর্মকে ফুটিলে তোলার জন্য বিভিন্ন ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এই সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি, চিত্র, এবং টেক্সট তৈরি করে থাকে। তারপর ডিজাইনকে সুন্দর, আকর্ষণীয়, ও মূল্যবান করার জন্য বিভিন্ন ফন্ট, রঙ, ছবি, আইকন, গ্রাফিক্স ইফেক্ট, ও অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উপাদান ব্যবহার করে একটি মূল্যবান মূল্যবান কনটেন্টে রুপান্তরিত করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন – Graphic Design করার জন্য অনেক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, Adobe InDesign ইত্যাদি। পৃথিবীর বেশিরভাগ ডিজাইনার Adobe এর সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে থাকে।

জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনি যতগুলো পণ্য ব্যবহার করে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন প্রকারের ছবি ও পোস্টার দরকার হয়। সেজন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা প্রচুর। সকালে উঠে যতগুলো জিনিস আপনি ব্যবহার করেন প্রতিটি জিনিস প্যাকেজিং করে থাকে, সেই প্যাকেজ ডিজাইন করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

একটি কোম্পানির লোগো যতটা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হবে মানুষ সেই কোম্পানি বিষয়ে চর্চা করবে। একটা পণ্যের প্যাকেজিং এর ডিজাইন যতটা সুন্দর ও মজবুত হবে সেই পণ্যের সুনাম ততটা ছড়াবে।

তবে প্রতিটি কাজের পেছনে রয়েছে অনেক সাধনা। একজন আর্টিস্ট যখন কোনো কিছুর ছবি আর্ট করার সময় কোনো কিছু মনের মতো না হলে কাট ছাট করে থাকে। ঠিক তেমনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কোনো কিছু আর্ট করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যারে চর্চা করে থাকে।

একজন Graphic Designer ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। কম্পিউটার সফটওয়্যার কোনো কিছু সুন্দর সুন্দর রূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকারের ফাংশন রয়েছে। বিভিন্ন প্রকারের অনুষ্ঠান, প্রকল্প, প্রচারাভিযান বা পণ্যের বার্তা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর বিভিন্ন প্রকারের সৃষ্টিকর্ম খুব সহজেই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার করতে পারেন।

একজন মেধাবী এবং সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তিরাই কেবল Graphic Design এ সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। আপনার কাছে যদি এরকম বৈশিষ্ট্য থাকে তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য একটি উপযুক্ত পেশা।

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে Graphics Design সম্পর্কে যেসকল বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত এবং আপনার সৃষ্টিকর্মকে কীভাবে আকর্ষণীয় এবং মনোমোহক রূপ দিতে পারবেন, সে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন – Graphic Design মূলত চিত্র, টেক্সট এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি শিল্প যা কোনো কিছুর বার্তা বহন করে থাকে। আপনার আশেপাশের যেকোনো জিনিসের দিকে তাকালে বুঝবেন যে প্রায় সবগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের অবদান। যেকোনো পোস্টার, লোগো, ম্যাগাজিনের পৃষ্ঠা বা ওয়েবসাইটের লেআউট, জামার ডিজাইন, গাড়ির ডিজাইন, যেকোনো বিল্ডিং এর ডিজাইন, জুতার ডিজাইন ইত্যাদি সবগুলোই গ্রাফিক্স ডিজাইনের উদাহরণ।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রধান লক্ষ্য হলো ভিজ্যুয়ালভাবে আকর্ষণীয় ও প্রভাবশালী কিছু তৈরি করা। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যারের সহায়তায় রঙ, ফন্ট, ছবি ইত্যাদি ব্যবহার করে একটি সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ডিজাইন তৈরি করা।

সহজ ভাষায়, গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনের একটি উত্তম উপায়। যা আমাদের সাথে সম্পর্কিত যেকোনো আইডিয়াকে ভিজ্যুয়ালি তৈরি করা। গ্রাফিক্স ডিজাইন আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর, সংক্ষেপ, বা জটিল হতে পারে।

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন ডিজাইনার কোন সুনির্দিষ্ট আইডিয়া, অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনাকে ছবি, শব্দ ও কালার ও সৃষ্টিশীলতার সমন্বয়ে কোন দৃশ্যমান বা পাঠ্যগত বিষয়বস্তুর রূপ দেওয়া যায় তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে।

Graphic শব্দটির আবিধানিক অর্থ হচ্ছে একটি বাস্তব চিত্রায়ন, যা একজন ডিজাইনারের কল্পনাশক্তি এবং অভিব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত। যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন না হতো তাহলে আমরা বিভিন্ন ফন্ট তৈরি করতে পারতাম না। যেকোন ফন্ট তৈরি করা কাজে Graphic এর দরকার হয়। কোন কাল্পনিক চিত্রকর্মকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষমতা সবার থাকেনা। গ্রাফিক্স ডিজাইনে টাইপোগ্রাফিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। এটি ছাড়া আমরা কোনো লেখা ডিজিটালাইজড করতে পারতাম না।

গ্রাফিক্স ডিজাইন – Graphic Design হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তিগত পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার মেধাশক্তি, কল্পনাশক্তি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন একটি দৃশ্যমান ছবি বা দৃশ্যকল্প তৈরি করতে পারবেন। একটা কথা আমাদের মনে রাখা উচিত একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি যদি তার মেধা ও কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোন কাজ করে, তাহলে সেই দৃশ্যকল্প অবশ্যই সবার ভালো লাগবে এবং ইউনিক হবে।

একটি ডিজাইন দেখতে যতটা সুন্দর, ঠিক তেমনি সেই দৃশ্যকল্প তৈরি করতে মেধা ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণ রয়েছে। তাই যদি আমরা কোনো ডিজাইনের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করতে যাই, তাহলে বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইন সহজ অথবা জটিল কিংবা উভয়ই হতে পারে।

একজন Graphic Designer যখন কোন ক্লায়েন্টের লোগো তৈরি করতে যায়, তখন আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও তা আসলে অনেক কঠিনও হতে পারে। কেননা একটা লোগো তৈরি হয় বিভিন্ন বিষয়ের উপর চিন্তা করে। যদি ওয়েবসাইটের কালারের সাথে লোগো ডিজাইনার না মিল রাখতে পারে, তাহলে সেই লোগো তেমন ভালো দেখাবে না। তাই একথা বলা যেতেই পারে, কোন ওয়েবসাইটের কালারের সাথে ঠিক রেখে, সেই ওয়েবসাইটের লোগো তৈরি করা তুলনামূলকভাবে কঠিন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার – Types of Graphic Design

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রটি অনেক বড়। এর অনেক শাখা -প্রশাখা রয়েছে। নিচে প্রতিটি প্রকরণের নাম ও প্রতিটি প্রকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১। কর্পোরেট আইডেন্টিটি ডিজাইন

কর্পোরেট আইডেন্টিটি ডিজাইন হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান ও কোন ব্যবসার জন্য তৈরিকৃত ব্যান্ডিং এর জন্য তৈরিকৃত কিছু ডিজাইন। যা দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের কাছে পরিচিতি লাভ করে থাকে। এই ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে লোগো ডিজাইন। একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো হচ্ছে তার ব্যান্ডিং। তাছাড়া প্রতিটি শাখার মানুষের নিজেদের জন্য Bossiness Card ও Letterhead তৈরি করে থাকে। যার একজন একজন মানুষ কোন প্রতিষ্ঠানে জব করেন এবং তিনি কি পদে আছেন তা বোঝা যায়। তার পাশাপাশি উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা এমনিতেই হয়ে যায়।

লোগো ডিজাইন – Logo Design

লোগো হচ্ছে কোন একটি ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের গ্রাফিক্যাল প্রতীকের প্রতিষ্ঠানিক নাম বা পরিচিতি। যার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং তৈরি করা হয়। আর লোগো তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় ছবি, টেক্সট, কালার এবং একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মেধাশক্তি ও কাল্পনিক চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোন একটি প্রতিষ্ঠানে লোগো তৈরি করার প্রক্রিয়াটি হলো লোগো ডিজাইন

একটি প্রতিষ্ঠানের বা কোন প্রকল্পের প্রতিষ্ঠানিক লোগোর মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি পায়। তাছাড়া লোগোকে যেকোনো মানুষ সহজে মনে রাখতে পারেন। একটি সুন্দর ও তাৎপর্যপূর্ণ লোগো তৈরি করা সহজ কিংবা কঠিন হতে পারে। লোগোর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের মৌলিক ভাবমূর্তি ও স্বভাব প্রকাশ করে।

লোগো তৈরি করার সময়, তার ডিজাইন, রং, ফন্ট ইত্যাদির উপর একটা বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। কেননা, একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, তার পণ্য, অফিস, এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে লোগো ব্যবহার করে। তাই যদি কোনো কারণে লোগোর ডিজাইন, রং, ফন্ট ইত্যাদির সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পণ্যের সাথে না মিলে তাহলে সমস্যা দেখা দিবে পারে। এর জন্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

লোগো একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্থক্য তৈরি করে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের লোগো যদি পেশাদার না হয় সেক্ষেত্রে ব্র্যান্ডিং করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংক্ষেপে বলা যায়, লোগো একটি প্রতিষ্ঠানের অদৃশ্য প্রতিষ্ঠানিক উপস্থিতি যা প্রতিষ্ঠানের অদ্বিতীয়ভাবে অবস্থান করে।

বিজনেস কার্ড – Business Card

বিজনেস কার্ড (Business Card) হচ্ছে একটি ব্যবসায়িক কার্ড যা দিয়ে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পাওয়া যায়। এই কার্ডে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার সকল তথ্য থাকে।

সাধারণভাবে বলা যায় একটি বিজনেস কার্ড হচ্ছে স্মল সাইজের একটি প্রিন্টেড কার্ড, যা কোন ব্যক্তির নাম, পদবী, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা ধারণ করে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা ইত্যাদি থাকে।

বিজনেস কার্ডের প্রধান উদ্দেশ্য হলো খুব তাড়াতাড়ি তথ্য আদান-প্রদান করা এবং যোগাযোগের মাধ্যম প্রদান করা। যদি কেউ কোন এক সংস্থার প্রতিনিধি বা কার্যকরী হয়ে আরেক প্রতিষ্ঠানে সাথে ডিল করতে গিয়ে থাকেন, তাহলে ডিল নিশ্চিত হওয়ার পর অথবা না হওয়ার পরও আপনি তাদেরকে বিজনেস কার্ড প্রদান করতে পারেন। যদি কোনো কারণে যোগাযোগ করতে হয় যেনো খুব সহজেই করতে পারেন।

একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজনেস কার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন। একটি প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কার্ড যতটা সুন্দর ও প্রফেশনাল হবে, মানুষের উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি জানার আগ্রহ তত বাড়বে। তাই যেকোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজনেস কার্ডের ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজনেস কার্ড ডিজাইন করার সময় উক্ত কার্ডের ডিজাইন, রঙ, টেক্সট এবং লোগো ইত্যাদি যথাযথভাবে নির্ধারণ করা হয়, যাতে উক্ত প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানিক ভাবমূর্তি বজায় থাকে।

বর্তমানে বিজনেস কার্ডে কিউআর (QR) কোডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বেশিরভাগ গ্রাহকরা শুধু স্ক্যান করেই যাতে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে। কিউআর (QR) কোড যুক্ত করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকদেরকে খুব সহজেই যাতে তাদের পণ্য অথবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে।

লেটারহেড – Letterhead

লেটারহেড – Letterhead হচ্ছে এক ধরণের স্টেশনারি যাকে কোন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বা ব্যক্তির অফিসিয়াল কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকে। একটি প্রফেশলান লেটারহেডে একটি প্রতিষ্ঠানের লোগো, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল এড্রেস এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত থাকে।

লেটারহেড কোন প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল চিহ্ন হিসেবে কাজ করে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক চিত্র এবং প্রাসঙ্গিকতার প্রতিনিধিত্ব করে। তাছাড়া লেটারহেডে ব্যবহৃত কোন লেখা অফিসিয়াল হিসেবে গণ্য করা হয়। এটিকে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

কিছু সংখ্যক দেশ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের লেটারহেডে নির্দিষ্ট তথ্য যেমন কোম্পানির নম্বর, নিবন্ধন তথ্য উল্লেখ করা থাকে। যা ঐ দেশের জন্য খুব দরকারি। যদি কোন দেশের প্রতিষ্ঠান লেটারহেডে কোম্পানির নম্বর, নিবন্ধন তথ্য উল্লেখ করা না থাকে, তাহলে উক্ত কোম্পানিকে জরিমানা দিতে হয়।

২। প্যাকেজ ডিজাইন – Package Design

কোন পণ্যের প্যাকেজিং কেবল সুরক্ষা নয়, এটি পণ্যের আকর্ষণ ও পরিচিতি মাধ্যম তৈরি করে। একটি পণ্যের প্যাকেজের ডিজাইন ও বিন্যাস গ্রাহকের কাছে পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রেরণ করার ক্ষমতা রাখে।

কোন প্রতিষ্ঠান যদি জনপ্রিয় কোন পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতা করতে চায়, সেক্ষেত্রে গুনগত মানের পাশাপাশি পণ্যের প্যাকেজের উপর গুরত্ব দিতে হয়। কেননা, কিছু গ্রাহক রয়েছেন যারা পণ্যের বাইরে দৃশ্য তথা প্যাকেজ দেখেই বুঝতে পারে পণ্যটি কেমন হবে।

নিম্নলিখিত বিষয়গুলির জন্য প্যাকেজ ডিজাইনের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা অপরিসীম-

আকর্ষণ তৈরি করা

একজন গ্রাহকের আকর্ষণ মূলত তৈরি হয় পণ্যের প্যাকেজের উপর লক্ষ্য করে। কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপযুক্ত রঙ, গ্রাফিক্স এবং টেক্সট ব্যবহার করে প্যাকেজ ডিজাইন করে থাকে। তারা অবশ্যই এটা জানে, যদি কোন পণ্যের প্যাকেজ আকর্ষণীয় হয়, তাহলে গ্রাহকের পণ্যটি ক্রয় করার জন্য আগ্রহ তৈরি হবে। সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন প্যাকেজ গ্রাহকের চোখে সহজেই পড়ে।

যদি কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যকে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন রঙ, গ্রাফিক্স এবং টেক্সট ব্যবহার না করে বাজারে ছাড়ে, তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই প্যাকেজ ডিজাইন – Package Design সুন্দর ও আকর্ষণীয় করা উচিত।

তথ্য প্রদান

যখন কোনো প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করে, তখন অবশ্যই গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা জরুরি। একজন গ্রাহক কি চায়, কি পছন্দ করে এসকল বিষয় নিয়ে যদি একটা পণ্যকে তৈরি করা যায় তাহলে সেই পণ্য ভালো বিক্রি হবে। তাই যেকোন পণ্যের প্যাকেজিং করার সময় প্যাকেজের গায়ে যদি পণ্যের সাথে তথ্য প্রদান করা যায়, তাহলে অনেক ভালো হয়।

প্যাকেজের গায়ে তথ্য হিসেবে পণ্যের গুণাগুণ, উপযোগিতা, উপযোগ প্রক্রিয়া, মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কে লেখা থাকলে পণ্যটি বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়।

ব্র্যান্ড পরিচিতি

একটি সুসজ্জিত প্যাকেজ ডিজাইন করার মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি প্রকাশ পায়। যদি কোন কোম্পানি তাদের কোন পণ্যকে ব্র্যান্ডিং করে ফেলে তাহলে উক্ত ব্যান্ডের প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই প্যাকেজ পরিবর্তন করা ঠিক নয়। তাই অবশ্যই প্যাকেজ ডিজাইন আগে থেকেই ভালো করে করা উচিত।

৩। ওয়েব ডিজাইন – Web Design

ওয়েব ডিজাইন – Web Design হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বিষয়। কেননা, প্রতিষ্ঠান, ছোটো বড় দোকান, ব্যবসায়ী, কিংবা উদ্যোক্ত তাদের ব্যবসার সফলতার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে। এখন প্রায় সবাই অনলাইনে অর্ডার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল মুখ। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডিজাইন, লেআউট, রঙের সেট, গ্রাফিক্স, ছবি এবং টেক্সট প্রদর্শন ইত্যাদি সকল কিছু একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনারের কাজ। ওয়েব ডিজাইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছেঃ

  • লেআউট: লেআউট একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন উপাদান কোথায় রাখা উচিত এবং কোথায় রাখা উচিত নয় তা নির্ধারণ করে থাকে। একটি ভালো লেআউটের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজেই যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা উচিত।
  • রঙ: একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে এবং এর রঙ মানুষের চোখে লাগবে নাকি এসকল বিষয় ভেবে রঙ নির্ধারণ করা উচিত।
  • গ্রাফিক্স: ছবি, লোগো এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স সহ ভাল ডিজাইন ওয়েবসাইটের দৃশ্য প্রদর্শন প্রভাবিত করতে পারে। ভালো ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন মানুষের মনে বেশি ধরে।
  • টেক্সট: স্পষ্ট এবং সহজলভ্য ভাষা, সঠিক ফন্ট এবং অক্ষর আকার ওয়েব ডিজাইনে গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার ক্ষেত্রে একজন ডিজাইনারকে অবশ্যই ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কেমন হবে তা ভেবে কোন ডিজাইন করা উচিত। যদি কোন ওয়েব ডিজাইনারের এসকল বিষয়ে কোন জ্ঞান না থাকে তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে।

একজন ডিজাইনার যখন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করবেন, তখন যাতে করে ডেক্সটপ কিংবা যেকোন মোবাইল ডিভাইসেই ওয়েবসাইটি ব্যবহারে সুবিধা হয়।

একজন ডিজাইনার তার গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার সময় অবশ্যই ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন এসইও ফ্রেন্ডলি (SEO friendly) ডিজাইন ভেবে কাজ করার উচিত। কেননা যদি কোন ওয়েব ডিজাইন ইউজার ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে পেইজ স্পিড অনেক কমে যাবে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন এর ক্ষেত্রে যেসকল স্কিলের প্রয়োজন হয়:

  • গ্রাফিক ডিজাইন স্কিল: ওয়েব ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক ডিজাইনের জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ। এটি শেখা থাকলে ওয়েবসাইটের জন্য লোগো, ছবি, ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করতে সাহায্য হবে।
  • HTML/CSS জ্ঞান: ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার এবং স্টাইল তৈরির জন্য হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ (HTML) এবং ক্যাসকেডিং স্টাইল শীটস (CSS) শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • রেস্পন্সিভ ডিজাইন: বিভিন্ন ডিভাইস ও স্ক্রিন সাইজের জন্য ওয়েবসাইটের ডিজাইন অপ্টিমাইজ করার জন্য রেস্পন্সিভ ডিজাইনের সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে।
  • ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজেশন: কোন ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজড করা থাকলে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়। ফলে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে যায়।
  • UX/UI ডিজাইন জ্ঞান: ব্যবহারকারীর জন্য সহজ এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরির জন্য ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (UX) এবং ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইনের স্কিল প্রয়োজন।
  • জাভাস্ক্রিপ্ট: ওয়েবসাইটে ইন্টার‍্যাক্টিভ ফিচার যুক্ত করার জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
  • টুল ও প্ল্যাটফর্ম: Adobe Creative Suite যেমন Photoshop, Illustrator, অথবা ওয়েব ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন WordPress, Wix, Squarespace ইত্যাদির সাথে পরিচিত থাকা।
  • টিম কাজ ও সহযোগিতা: অন্যান্য ডেভেলপার, গ্রাফিক ডিজাইনার এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হবে।

৪। প্রিন্ট ডিজাইন – Print Design

প্রিন্ট ডিজাইন – Print Design হচ্ছে মুদ্রণ জগতে প্রয়োগ করা ডিজাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি শাখা। এই শাখায় বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি সামগ্রী নিজে কাজ করা হয়ে থাকে। যেমন: ব্যবসা কার্ড, ব্রোশিউর, পোস্টার, প্যাকেজিং, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। যেসকল কারণে প্রিন্ট ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত, রঙের ব্যবস্থাপনা। ডিজাইন তৈরি করার সময় অধিকাংশ ডিজাইনার CMYK রঙ সিস্টেম ব্যবহার করে। এটি তিনটি প্রধান রঙ – লাল, সবুজ, ও নীল এবং কালো দ্বারা গঠিত।

দ্বিতীয়ত, রেজোলিউশন ও ছবির গুনগত মান। যেহেতু প্রিন্ট ডিজাইন বাস্তবিক পেপার বা অন্য মাধ্যমে মুদ্রিত হয়, তাই স্পষ্টতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তৃতীয়ত, লেআউট ও স্থান প্রব্যবস্থাপনা। এটি তথ্যের স্পষ্টতা, সহজলভ্যতা এবং আকর্ষণ নিশ্চিত করে। ব্লিড, মার্জিন ও অভ্যন্তরীণ স্পেসিং এর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রিন্ট ডিজাইনে অত্যন্ত জরুরী।

চতুর্থত, টেক্সট এবং ফন্ট। সঠিক ফন্ট নির্বাচন পাঠকের ধ্যান আকর্ষণ করতে সহায়ক।

সংক্ষেপে, প্রিন্ট ডিজাইন হল দৃশ্যমান এবং মৌলিক তথ্যের সমন্বয়ে মুদ্রিত একটি ডিজাইন যা বাস্তবে প্রকাশিত হয়। এটি সঠিক প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও স্থান ব্যবস্থাপনার সংমিশ্রণ।

৫। মোশন গ্রাফিক্স – Motion Graphics

মোশন গ্রাফিক্স – Motion Graphics হচ্ছে এমন একধরণের গ্রাফিক্স যা সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে থাকে যেমন ভিডিও অথবা অ্যানিমেশন। সময়ে সাথে পাল্লা দিতে হলে আপনাকে বিভিন্ন প্রকারের আইডিয়া কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু ভিডিও বা অ্যানিমেশন না তৈরি করতে হবে।

মোশন গ্রাফিক্সের প্রধান হলো কাহিনি বা তথ্য নির্ভর। এটি প্রায়ই ফিল্ম, টেলিভিশন, অনলাইন সামগ্রী, এবং অন্যান্য মিডিয়া ফরমেটে ব্যবহার করা হয়। বিশেষত প্রচার ও বিজ্ঞাপনে এটি বেশি প্রচলিত।

মোশন গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট লেখা, স্টোরিবোর্ড তৈরি, ডিজাইন, অ্যানিমেশন, সংগীত এবং অডিও সংযোজন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের কাজ থাকতে পারে।

যদিও মোশন গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশন একত্রে দেখানো যায়, তবে এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অ্যানিমেশন মূলত কোন একটি চরিত্র বা দৃশ্যের জীবন্তকরণে কেন্দ্রিত হয় আর অপরদিকে মোশন গ্রাফিক্স তথ্য প্রেরণে কেন্দ্রিত হয়।

মোশন গ্রাফিক্সের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে, যেমন: Adobe After Effects, Cinema 4D ইত্যাদি। এসকল সফটওয়্যার দিয়ে ডিজাইনাররা অত্যন্ত জটিল এবং চমকপ্রদ প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারে।

৬। টাইপোগ্রাফি ডিজাইন – Typography Design

টাইপোগ্রাফি গ্রাফিক ডিজাইনের এক গৌরবময় অংশ। এটি শব্দের প্রকৃতি, আকার এবং স্টাইল নির্ধারণ করে। কোন বিজ্ঞাপন বা ব্রোশিউর যখন আমরা দেখি, তার পেছনে টাইপোগ্রাফির অবদান রয়েছে। টেক্সটের রং, স্টাইল, স্থান ও আরও অনেক কিছুর উপর টাইপোগ্রাফি ডিজাইন নির্ভর করে।

টাইপোগ্রাফির দুইটি মৌলিক জিনিস হলো ফন্ট ও টাইপফেস। এই মৌলিক বিষয় গুলো নির্ধারণ করে যে কোন অক্ষর কেমন দেখাবে। তাছাড়া টাইপোগ্রাফি নির্ধারণ করে লাইন হাইট ও লেটার স্পেসিং। এগুলোর উপর একজন পাঠকের পাঠ করার ও অসুবিধা নির্ধারণ হয়।

ট্যাক্সট হাইয়ারার্কি নির্ধারণ করে যে প্রধান তথ্য এবং উপ-তথ্য যেমন শিরোনাম ও উপ-শিরোনাম কেমন প্রকৃতির হবে। সঠিক রং ও কন্ট্রাস্ট একজন পাঠকের পাঠযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যেহেতু টাইপোগ্রাফি অক্ষরগুলির শৈলী, স্ট্রাকচার এবং বিন্যাস নির্ধারণ করে, তাই এটি না হলে ডিজাইন অধূরা থাকে। কোন বিজ্ঞাপনের শিরোনাম বা একটি ব্রোশিউরের টেক্সট, সঠিক টাইপোগ্রাফি ব্যবহার করলে পাঠকের চোখের কোন ক্ষতি করবেনা, ফলে পাঠকের পাঠযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়।

শব্দ ও অক্ষরের সঠিক চয়ন বার্তা প্রেরণে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টাইপোগ্রাফি পাঠকের মনে একটি বিশেষ আবেগ বা আনুভুতি উত্তেজনা করতে পারে, যা শুধু শব্দ বা চিত্র দ্বারা সম্ভব নয়। সুতরাং, এটি বলা যেতে পারে যে টাইপোগ্রাফি ডিজাইন হল গ্রাফিক ডিজাইনের হৃদয়।

৭। ইলাস্ট্রেশন -illustration

ইলাস্ট্রেশন -illustration শব্দটির আভিধানিক অর্থ কোন ধারণা, বিষয় বা তথ্য দিয়ে চিত্র অংকন করা। সাধারণত বই, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট, কমিক্স, প্যামফ্লেট, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির জন্য ইলাস্ট্রেশন করা প্রয়োজন হয়। কেননা, প্রতিটি বই, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট, কমিক্স, প্যামফ্লেট, বিজ্ঞাপন এর চিন্তা আলাদা না হলে কপিরাইটের মামলা দিতে পারে।

ইলাস্ট্রেশন তথ্য প্রদান করার সাথে সাথে বিনোদন প্রদান করে থাকে। প্রতিটি ইলাস্ট্রেশন সহজ থেকে শুরু করে জটিল ধারণা বা তথ্য উপস্থাপন করার ক্ষমতা রাখে। যা পাঠকদের একটি বিষয় বা গল্প নিয়ে যত্নশীলভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করতে পারে।

ইলাস্ট্রেশন হচ্ছে একটি প্রাচীন কলা। আদিকালে আদি মানব যখন কোন ছবি তোলা বা ভিডিও করার সামগ্রি ছিলোনা, তখন ইলাস্ট্রেশন কলা ব্যবহার করতো। বর্তমানে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজে, প্যাডে, ডিজিটাল ডিভাইসে ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের চিত্র অংকন করা যায়। আধুনিক সময়ে, ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত যা গ্রাফিক ট্যাবলেট, কম্পিউটার প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে।

৮। অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইন – Advertising Design

অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইন – Advertising Design হচ্ছে পণ্য, সেবা বা ধারণা প্রচার করার জন্য সৃজনশীল ও আর্টিস্টিক উপায়। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বেশি মানুষের কাছে তথ্য পৌছে দিতে পারি। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রশংসকদের কাছে একটি নির্দিষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

কোন অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইনের প্রধান উপাদান গুলো হচ্ছে চিত্র, টেক্সট এবং রং। অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি উল্লেখ্যযোগ্য শাখা। যখন আমরা টিভির বিভিন্ন চ্যালেনের বিজ্ঞাপন, রাস্তার বিলবোর্ড, প্রিন্ট ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপন বা অনলাইন ব্যানার ইত্যাদি দেখি তার পেছনে একজন ডিজাইনারে হাত থাকে। এই সকল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিজাইনার একটি ম্যাসেজ প্রদান করে থাকে।

একটি সফল অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইন হল যা দর্শকের মনে মধ্যে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি তাদের কিছু কেনা, কিছু জানা বা একটি চিন্তা বা আবেগ অনুভব করার জন্য উৎসাহিত করে।

অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইন কেবল বিজ্ঞাপনে সীমিত নয়। এটি লোগো, ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং এবং অন্যান্য বিপণন উপায় সহ যেকোন সৃজনশীল কার্যে প্রয়োগ করা হতে পারে যা একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত।

অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সীমিত স্থানে সবচেয়ে বেশি তথ্য প্রদান করা। একটি বিজ্ঞাপনে প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দর্শক যেন দ্রুত বোঝে এবং ক্রিয়াকলাপ গ্রহণ করে।

সংক্ষেপে, অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইন একটি শক্তিশালী যৌক্তিক ও সৃজনশীল উপায় যা দর্শকের মনে সংবেদনা জাগানো এবং একটি নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে।

৯। ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন – Infographic Design

ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন – Infographic Design হচ্ছে এক ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন – Graphic Design যা জটিল তথ্য, ডাটা সহজ ও বোধগম্য ভিজুয়াল ফরম্যাটে প্রকাশ করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দর্শকদের জন্য বোধগম্য ফরম্যাটে পরিনত করা।

ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন প্রয়োগের প্রধান কারণ হচ্ছে যদি কোন গ্রাহক উক্ত বিষয়ে দক্ষ না হয় সেক্ষেত্রে জটিল তথ্য সহজে বোঝা। এজন্য জটিল ডাটাকে একটি সাধারণ বার চার্ট, পাই চার্ট অথবা অন্যান্য গ্রাফিক্যাল প্রতীকে প্রকাশ করা হয়। ফলে এসকল ডাটা খুব সহজে বোধগম্য হয়।

ইনফোগ্রাফিক ডিজাইনের কিছু সাধারণ উপাদানের মধ্যে সাংখ্যিক তথ্য, চিত্র, চার্ট, গ্রাফ, রং এবং সিম্বল ইত্যাদি খুব জনপ্রিয়। সঠিক ভাবে ডিজাইন করা ইনফোগ্রাফিক তথ্য উপস্থাপনের সাথে সাথে এটি সুন্দর ও আকর্ষণীয়ও হয়ে যায়।

ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করে শ্রেণিবদ্ধ করা, তুলনা করা, কারণ-ফলাফল প্রদর্শন করা, সময়ের ধারা অনুসরণ করা বা জটিল প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা সহজ হয়।

ইনফোগ্রাফিক সৃজনে দক্ষতা অর্জনের জন্য একটি সুসংবেদনশীল চোখ, ডাটা বোঝার ক্ষমতা এবং গ্রাফিক ডিজাইনের জ্ঞান প্রয়োজন। সঠিক ভাবে ডিজাইন করা ইনফোগ্রাফিক অবজেক্টিভ তথ্য প্রদানের সাথে সাথে দর্শকের মনে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সফটওয়্যার – Graphic Design Software

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার রয়েছে। এই সফটওয়্যারগুলি ডিজাইনারের কাজকে সহজ ও পেশাদারী করে তোলে। নিচে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত হল:

১। অ্যাডোবি ফটোশপ – Adobe Photoshop

অ্যাডোবি ফটোশপ – Adobe Photoshop হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ডিজাইন সফটওয়্যার। চিত্র সম্পাদনার ক্ষেত্রে প্রায় তিন দশক ধরে পেশাদার এবং শৌখিন ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ হিসেবে অ্যাডোবি ফটোশপ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

চিত্র সম্পাদনা করার জন্য Adobe Photoshop এ উন্নত টুলস এবং ফিল্টার রয়েছে। যার সাহায্যে যেকোনো ছবির রঙ, প্রকাশনা, ও কন্ট্রাস্ট সম্পাদনা করা যায়। ছবির উজ্জ্বলতা বাড়ানো বা কমানো, অপ্রয়োজনীয় অংশ অপসারণ করা, রঙ সংশোধন ইত্যাদি খুব সহজেই করা যায়।

ফটো রিটাচিং হচ্ছে Adobe Photoshop এর সবচেয়ে জনপ্রিয় টুলস। এই টুলস দিয়ে স্পেশালিস্টরা কোন ছবির দাগ প্রতিস্থাপন, চেহারায় ত্বকের সমস্যা সমাধান, চোখ রঙ পরিবর্তন, চুল সম্পাদনা ইত্যাদি করার জন্য ফটো রিটাচিং টুলস ব্যবহার করা হয়।

ডিজিটাল চিত্রকরদের জন্য এটি একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম। তাদের সাথে ব্যবহৃত ব্রাশ, টেক্সচার, এবং অন্যান্য উপকরণ তাদের জন্য প্রতিস্থাপন ক্যানভাস এবং চালক রঙ প্রয়োগের সমস্ত সুবিধা প্রদান করে।

২। অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর – Adobe Illustrator

অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর – Adobe Illustrator গ্রাফিক ডিজাইনের জগতে একটি স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। এটি ভেক্টর ভিত্তিক ডিজাইন সফটওয়্যার যা মূলত লোগো, আইকন, টাইপোগ্রাফি, এবং ইলাস্ট্রেশন তৈরির জন্য প্রয়োজন।

অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভেক্টর ডিজাইন করা ক্ষমতা। ভেক্টর গ্রাফিক্স পিক্সেলের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না, তাই ছবিটি যত বড় বা ছোট হোক না কেন, তার মান কখনও হারায় না।

তাছাড়া বিজনেস লোগো, ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি এবং কার্ড ডিজাইনের জন্য Illustrator একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার। কোন ডিজাইনার যদি কাস্টম টাইপফেস এবং ফন্ট তৈরির জন্য ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে তাহলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন। এটি প্রয়োজনীয় টুলস সরবরাহ করে যা প্রোফেশনাল লেভেলের টাইপোগ্রাফি তৈরি করতে সাহায্য করে।

৩। অ্যাডোবি ইনডিজাইন – Adobe InDesign

অ্যাডোবি ইনডিজাইন – Adobe InDesign হচ্ছে প্রিন্ট ও ডিজিটাল প্রকাশনা জগতের একটি শীর্ষ প্রোগ্রাম। এই সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজেই বুক, ম্যাগাজিন, ব্রোশিউর, প্যামফ্লেট এবং ডিজিটাল ফরম্যাট ইত্যাদি ডকুমেন্টে পরিনত করা যায়।

অ্যাডোবি ইনডিজাইনের মাধ্যমে যেকোন ধরনের প্রিন্ট ডিজাইন করা হয়। এই সফটওয়্যার মধ্যে অবস্থিত গ্রিড, স্টাইল এবং ব্যবস্থা ইত্যাদি তৈরির জন্য InDesign উদাহরণীয়। বই, ম্যাগাজিন, এবং ব্রোশিউর তৈরির জন্য এটি একটি প্রাথমিক টুল।

৪। কোরেল ড্র – CorelDRAW

কোরেল ড্র- CorelDRAW ভেক্টর ভিত্তিক গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যারের জন্য একটি বিখ্যাত নাম। প্রায় তিন দশক ধরে, এটি গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য একটি অপরিহার্য সফটওয়্যার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এর শক্তিশালী ড্রয়িং এবং ট্রেসিং টুলস, রঙ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ওয়েব গ্রাফিক্স তৈরির ক্ষমতা যা সফটওয়্যার জগতে একটি বড় সন্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

Adobe Photoshop দিয়ে যা করা কোরেল ড্র দিয়ে ঠিকই একই প্রকারের কাজ করা যায়। যেমনঃ লোগো, ব্যানার, ব্রোশিউর, সাইনবোর্ড এবং অন্যান্য প্রিন্ট মিডিয়া ইত্যাদি। তবে এটি Adobe Photoshop থেকে একটু আলাদা কেননা এটির মাধ্যমে সহজে ভেক্টর আঁকা ও ইমেজ সম্পাদনা করা যায়।

স্টাইলস, গ্র্যাডিয়েন্ট, এবং অন্যান্য প্রিসেট টুলস ডিজাইন প্রক্রিয়াটিকে অধিক সৃজনশীল এবং কার্যকর করে তোলে। তাছাড়া, এর ফোন্ট ম্যানেজার ডিজাইনারদের ফন্ট সংগ্রহ ও পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বর্তমান চাহিদা

অতীতে যখন ডিজিটাল কম্পিউটার ছিলোনা, তখন ডিজাইনার অফলাইনে কাজ করতো। তারা বিভিন্ন রকমের ডিজাইন হাতের ছোয়ার নিমিষেই করে ফেলতে পারতো। তবে সময়ও লাগতো বটে। যুগের আবর্তনের সাথে সাথে ডিজাইনারদের চাহিদা বাড়তেই থাকে।

যতই ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-কারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই বিভিন্ন প্রকারের ডিজাইনারের চাহিদা বাড়তেই থাকে। যখন ইন্টারনেটের সাথে মানুষ পরিচিতি পায়, তখন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন দেশের ডিজাইনার ভিড় জমায়।

ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে আজ প্রযুক্তি এমন জায়গায় চলে এসেছে যে মানুষ পূর্বে যে কাজ করতে অনেক সময় লাগতো। কিন্তু বর্তমানে তা কয়েক সেকেন্ড লাগছে। এটা সম্ভব হয়েছে কম্পিউটার প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে।

কিন্তু বর্তমান যুগে মানুষের চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এআই (AI)। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি বর্তমানে এআই (AI) নিয়ে কাজ করছে। এর সহায়তায় যেকোনো মানুষ খুব সহজেই তাদের জন্য লোগো, বিজ্ঞাপনের ব্যানার, বিজনেস কার্ড ইত্যাদি কয়েক সেকেন্ডে তৈরি করে দিচ্ছে।

ফলে বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বর্তমান চাহিদা রয়েছে, তবে কোন ডিজাইনার যদি এআই (AI) ব্যবহার না করে তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে বড় বিপদের পড়তে পারে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে – একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তার স্কিল ও অভিজ্ঞতা কেমন তার উপর নির্ভর করে। একজন কম স্কিল ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি কখনোই বেশি টাকা ডিমান্ড করতে পারবেন না। কিন্তু একজন বেশি স্কিল ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি ইচ্ছে করলেই বেশি টাকা ডিমান্ড করতে পারবেন।

তাছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে ইনকাম বাজারের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। কেননা, আপনি কখনোই আমেরিকার ক্লায়েন্টের কাছে যে টাকা ডিমান্ড করেন, সেই একই টাকা আপনি কম উন্নত দেশের ক্লায়েন্টের কাছে ডিমান্ড করতে পারবেন না।

তবে এটা ঠিক আপনি যদি ভালো স্কিল ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন বিভন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে।

শেষকথা

গ্রাফিক্স ডিজাইন – Graphic Design বিশ্বের যেকোন তথ্য এবং বার্তাকে ভিজুয়ালি তৈরি করার জন্য একটি অপরিহার্য ক্ষেত্র। আমরা যখন লোগো, ব্যানার, ওয়েবসাইট বা প্রিন্ট বিজ্ঞাপন দেখি, তখন গ্রাফিক ডিজাইনের হাতে তৈরি ও সেই ডিজাইনের পেছনে লুকিয়ে থাকা কৌশল ও অভিজ্ঞতাও নজরে আসে।

গ্রাফিক ডিজাইন মেধাশক্তি ও অভ্যন্তরীণ সৃজনশীলতার সংমিশ্রণ। এটি বিজ্ঞাপন, প্যাকেজিং, ডিজিটাল ডিজাইন এবং প্রিন্ট ডিজাইন প্রভৃতি তৈরিতে প্রয়োগ করা হয়। ডিজাইনারগণ অনেক সময় একটা নির্দিষ্ট বার্তা তার ডিজাইনে প্রকাশ করতে চায়। গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির বাস্তবে রূপ দেওয়ার মাধ্যম এবং যা প্রযুক্তির সাথে স্থায়ীভাবে বিকাশ করছে এবং সেটি আমাদের সম্পূর্ণ ডিজিটাল যুগে অপরিসীম সম্ভাবনা তৈরি করছে।

Leave a Comment